বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ১১

 বেপরোয়া_প্রেমঘোর 

লেখিকা—প্রিয়া(ছদ্মনাম) Priya's Story

পর্ব ১১


ডক্টর সীমা এসেছেন আদির বাড়িতে।মূলত কাল আদির তার সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিলো।বিভিন্ন প্রেশারে আদি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলো সে কথা।আজ তিনি ফোন করার পর আদি এ কথা বলতে ডক্টর সীমা নিজেই প্রস্তাব রেখেছেন বাড়িতে আসার। কেউ নিজে থেকে এ কথা বললে তাকে আর কি করে না করবে আদি?তাই বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দিয়েছে।আদি নিজে গিয়ে নিয়ে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু সীমাই না করেছেন।সোফায় বসে আদিবাকে খুঁজছেন সীমা।তিনি এখানে আদিবার অবস্থা দেখতেই এসেছেন। কিয়ৎক্ষন পর নিচে নামলো আদিবা।তাকে দেখে একদম সুস্থ মনে হচ্ছে। আদি তাকে বলেছিলো সীমার আসার কথা তাই সে অবাক হলো না।হেঁটে গিয়ে সীমার পাশে বসে বললো,

—'কেমন আছেন আন্টি?আপনি এভাবে আমার খোঁজ নিতে বাড়িতে চলে আসবেন আমি ভাবতেই পারিনি। আমি খুব খুশি হয়েছি আন্টি।'

—'ভালো আছি মা। আমি ভাবলাম তুমি তো অসুস্থ। যেতে কষ্ট হবে ওত দূরে।নিজে থেকে একবার তোমার সাথে কথা বললেই ভালো হতো।সেজন্যই চলে এলাম।তো বলো তুমি কেমন আছো?সেদিনের পর থেকে কি আর কিছু ঘটেছে?অস্বাভাবিক কিছু?'

—'না আন্টি।সেদিন বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে একটু একটু করে ভয়টা কমছিলো আর আশ্চর্যের ব্যাপার হলো যে আর তেমন কিছুই ঘটেনি। হুট করে সব কিকরে গায়েব হয়ে গেলো?'

সীমা মৃদু হাসলেন।তারপর বললেন,

—'সেদিন তোমাদের না বলেই আমি হ্যালুসিনেশন অফের জন্য একটা মেডিসিন দিয়েছিলাম।ভেবেছিলাম কাজ হবে না। এখন দেখছি সেটাতেই কাজ হয়েছে।যাক আলহামদুলিল্লাহ। তুমি তো সুস্থ। আমি তাহলে যাই এবার।'

—'কি বলছেন আন্টি?এখনই তো আপনাকে যেতে দেবো না।আমার খবর নিতে এসে খালি মুখে ফিরে যাবেন এটা কিছুতেই হয় না।আপনি একটু বসুন।আমি এক্ষুনি আসছি।'


আদিবা দৌড়ে ছুটে গেলো রান্নাঘরের দিকে।সীমা আর কিছু বলার সুযোগই পেল না।আদির সাথে সে আরো কিছু বিষয় ডিসকাস করতে লাগলো।রান্নাঘরে মিনি, রিয়া আর তুলিকে দেখতে পেলো আদিবা। তারা দুপুরের খাবার রান্না করছিলেন।আদিবা কিছু পাস্তা আর চিকেন পাকোড়ার ব্যবস্থা করলো সীমার জন্য....


_____________________


আদিবার সাথে ওর কলেজ নিয়ে কথা বলছে আদি।

—'তো তুমি কি ঠিক করেছো?পড়াশোনা আর করবে না?'

—'আশ্চর্য তো!আমি কখন বলেছি এ কথা।মাথা ঠিক আছে আপনার? ''

—''কিন্তু আমি তো তোমার মধ্যে পড়াশোনা করার কোনো ভাবলক্ষণ দেখতে পাচ্ছি না।কলেজ তো যাওয়া দরকার নাকি?'

আদিবা এবার অভিমানে মুখটা ফুলিয়ে ফেললো।অন্যদিকে ফিরে বললো,

—'আপনি বোধ হয় ভুলে গেছেন এই কয়দিন আমি কি পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছি।এসবের মধ্যে আমার কলেজ যাওয়ার কথা ছিলো বুঝি?আপনি হয়তে সব ভুলেই গেছেন।এজন্যই আমাকে শুধু শুধু এভাবে দোষারোপ করছেন।বেশ!আমি কাল থেকেই কলেজে যাবো।সেটা আমার জন্য আরো ভালো হবে!'

আদি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারলো আদিবা যে রাগ করেছে।আদি উঠে আদিবার সামনে বসলো।একহাতে আদিবার গালটা সামান্য টেনে বললো,

—'আরে এত রাগ করতে হয় নাকি?আমি কিচ্ছু ভুলিনি।আমি তো শুধু মজা করছিলাম।দেখি আমার দিকে তাকাও তো।'

আদি জোর করে আদিবার মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে নরম কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো, 

—'রাগ করেছো?'

—'না।'

—'দেখে তো মনে হচ্ছে করেছো।দেখো আমি তো জানি তুমি কত মেধাবী ছাত্রী।পড়াশোনাকে কত ভালোবাসো।আমি তো এমনি মজা করছিলাম রাগ করে না জান।'

আদি আলতো করে আদিবার নাকটা টিপে দিলো।আদিবা অভিমান ভুলে গিয়ে হেসে ফেললো।আদিও হেসে তাকে জড়িয়ে ধরলো।


........


তপ্ত রোদের ভেতর একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে অভি।মুখে আঁটসাঁট করে পড়া একটা মাস্ক আর মাথায় একটা বড় টুপি।হাতে হ্যান্ডগ্লাভস্ ও পড়ে নিয়েছে সে।চোখদুটো দেখা যাচ্ছে শুধু। এই মুহূর্তে তাকে দেখলে আদি বা ওর বাড়ির কেউই চিনতে পারবে না।দোকানি অনবরত আপনমনে তার নিজের কথা বলে যাচ্ছে। 

—'দেখুন জনাব।আমি রেফারেন্স ছাড়া এসব জিনিস কারো কাছে বিক্রি করি না।এগুলো খুব সেন্সিটিভ জিনিস। কালো জাদু জিনিসটা কিন্তু মুখের কথা নয়।আমি এই উপকরণগুলো এখানে বিক্রি করে শুধুমাত্র সঠিক কোনো প্রেততত্ত্ববিদের রেফারেন্স পেলে।তাছাড়া কোনো সাধারণ মানুষকে দিলে সে যদি এগুলোর সঠিক ব্যবহার না করতে পেরে নিজের বিপদ ঘটিয়ে বসে?আমি বাবা কারো বিপদের কারণ হতে পারবো না। '

অভি এবার বেশ বিরক্ত হলো।রাগ তড়তড় করে বেড়ে চললো এক ঘণ্টা ধরে দোকানির এই এক কথা শুনতে শুনতে।তবুও সে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রেখে বলার চেষ্টা করলো,

—'দেখুন আমি একজনের মিডিয়াম থেকেই এসেছি।কিন্তু সেই মিডিয়াম খুব গোপনে কাজ করেন।তার আসল পরিচয় জানানো নিষেধ আছে।আপনি আমার কথা বিশ্বাস করছেন না কেন?'

—'তো সেই মিডিয়াম কে ফোন করে আমার সাথে কথা বলিয়ে দাও।তবেই আমি জিনিসপত্রগুলো তোমাকে দেবো।'

অভি এবার আর নিজেকে সংযত রাখতে পারলো না।ধমক মে'রে দোকানিকে বলে উঠলো,

—'ধুর মিয়া!কি শুরু করেছেন তখন থেকে?রেফারেন্স দাও রেফারেন্স দাও।বা** রেফারেন্স দেবো আপনাকে আমি।আপনি কারো বিপদের কারণ হতে চান না তাই না।তো এইসব বা** জিনিসপত্রের দোকান খুলে বসে আছেন কেন?এগুলো কিনে নিয়ে যারা অন্য কারো উপর ম'র'ন বান মা'রে তার ক্ষতিটাকি পরোক্ষভাবে আপনার জন্যই হচ্ছে না?ফালতু যুক্তি দেখাতে আসছেন আমাকে?ভালোভাবে শেষবারের মতো বলছি জিনিসপত্রগুলো আমায় দিয়ে দিন।নাহলে আমি পুলিশ ডেকে আপনার এই অবৈধ রমরমা ব্যবসা বন্ধ করে দেবো।আমাকে কিন্তু কেউ ধরতে পারবে না বুঝলেন?ফাঁসবেন শুধু আপনি!তাই বলছি আপনি আর কথা না বাড়িয়ে ওগুলো দিন।আমার অনেক সময় ন'ষ্ট করে ফেলেছেন আপনি।'

দোকানি একটা শুকনো ঢোক গিয়েছে। এতক্ষণ অভিকে শান্তশিষ্ট একটা ছেলে মনে হলেও এখন তার চড়া গলা শুনে তিনি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন এর সাথে আর ত্যা'ড়া'মি করা মানে নিজের বিপদ ডেকে আনা।তিনি মুখে একটা কৃত্রিম হাসি ঝুলিয়ে জিনিসপত্রগুলো একটা কালো ব্যাগে ভরে অভির দিকে এগিয়ে দিলেন।অভি ব্যাগটা নিয়ে সম্পূর্ণ দাম মিটিয়ে চলে গেলো সেখান থেকে। অলরেডি অনেক দেরি হয়ে গেছে। সে দ্রুত পা চালাতে লাগলো। সে যেখানে যাবে সেখানে গাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।কারণ এতে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।তাই সে দ্রুতগতিতে হেঁটে চললো সামনের জঙ্গলটার দিকে।এই জায়গাটা আদির বাড়ির থেকে অনেক অনেক দূরে।অভিদের বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ছিলো ওই দোকানটা।তারপর শুধু জনমানবহীন রাস্তা আর সামনেই জঙ্গল।ভুল করেও কোনো মানুষ আসেন না এদিকে। অভি হেঁটে নিজের গন্তব্যের দিকে যেতে যেতে কালো ব্যাগটার মধ্যে হাত দিলো।নিজের পকেট থেকে কিছু একটা বের করে জিনিসটা অদলবদল করে নিল।তার মুখে একটু স্বস্তির হাসির দেখা গেলো।দ্রুত পায়ে আবার হেঁটে চলে গেলো সে।


______________________


নিজের ঘরে বসে কাঁদছে তুলি।সকাল থেকেই ওমন একটা ঘটনার জন্য মিনি তার উপর ক্ষেপে ছিলেন।দুপুরের রান্নার সময় আদিবা ডক্টর সীমাকে নাস্তা করিয়ে রান্নাঘর থেকে চলে যাওয়ার পর মিনি আর তুলি একাই ছিলেন।রিয়া খুব ক্লান্ত বোধ করছিলেন।অল্পতেই হাঁপিয়ে যান তিনি।তাই মিনি তাকে জোর করেই উপরে পাঠিয়ে দিয়েছিলো।তিনি আর তুলি মিলে আরেকটা তরকারির জন্য কিছু সবজি কা'টছিলো।তুলি অনেকটাই অন্যমনস্ক ছিলো তখন।হাতে ছু'ড়ি নিয়ে পাশ ঘুরতে গেলে মিনির হাতে লেগে যায় সেই ছু'ড়ি। গলগল করে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে র'ক্ত।তুলি পুরো হতভম্ব হয়ে যায়।কারণ সে এরকম কিছু কখনোই করতে চায়নি। কেন চাইবে?কিন্তু মিনি তার উপর সকালের ঘটনার সঠিক ব্যাখ্যা না পাওয়ায় এমনিতেই ক্ষে'পে ছিলেন।এভাবে নিজের হাত কে'টে যাওয়ায় তিনি আরো ক্ষে'পে যান এবং খুব জোরেই তুলির গালি একটি চড় বসান।এখানেই ক্ষান্ত হননি তিনি। তুলির চুলের মুঠি শক্তভাবে ধরে অশ্রাব্য গালিগালাজ ও করতে থাকেন।তুলির গগন বিদারী চিৎকারে রিয়া চৌধুরী ও আদিবা নিচে নেমে আসেন।আফজাল,অভি ও আদি তখন বাড়ির বাইরে।আদিবা আর রিয়া সম্পূর্ণ বোকাবনে যায় এ দৃশ্য দেখে। মিনির হঠাৎ এমন হিং'স্র আচরণের কারণ কেউই বুঝতে পারলো না।ইতিমধ্যে তুলিকে ঝাটকা মে'রে রান্নাঘরের মেঝেতে ফেলে দিয়ে নিজের হাত চেপে ধরে মিনি।আদিবা দৌড়ে তুলির কাছে যায়।তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে।হাওমাও করে আদিবাকে জড়িয়ে কেঁদে উঠে তুলি।রিয়া চৌধুরীর চোয়াল শক্ত হয়ে য়ায় অসহায় একটা মেয়ের প্রতি মিনির এমন আচরণ দেখে।তিনি কঠিন গলায় মিনিকে বলেন,

—'এটা তুমি কি করলে ভাবি?তোমার এমন আচরণের কারণটা কি?একটা অসহায় মেয়ের সাথে কিকরে তুমি এমন আচরণ করতে পারো ভাবি?তোমার কি বোধবুদ্ধি লোপ পেয়েছে? '

—'অসহায়?হাহ!এই মেয়ে অসহায়?আমার তো রীতিমতো এই মেয়েকে একটা বিশ্বাসঘাতক মনে হচ্ছে। ও কারো কথায় যেকোনো উদ্দেশ্য নিয়েই এ বাড়িতে ঢুকেছে।এ বাড়ির মানুষগুলোর ক্ষতি করার জন্য।'

রিয়া আর আদিবা কিছুই বুঝতে পারলো না।রিয়া চৌধুরী শান্ত কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,

—'তুমি এসব কি বলছো ভাবি?ও কেন এমন করবে?কিসের ভিত্তিতে তুমি এসব কথা বলছো?'

মিনি এবার তুলির দিকে আড়চোখে তাকিয়ে সকালের ঘটনা আর তার হাত কে'টে ফেলার কথাটা বললেন।সাথে এও বললেন তুলি ইচ্ছে করেই ছু'ড়ি লাগিয়ে উনার হাত কে'টে দিয়েছে।সবাই এবার অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে তাকালো তুলির দিকে। কিন্তু আদিবা তুলিকে ছেড়ে রান্নাঘরের বেসিন থেকে এক গ্লাস জল এনে তাকে খাওয়ালো। তারপর শান্ত স্বরে জিজ্ঞেস করলো,

—'তুলি আমি তোকে নিজের বোন ভেবে ফেলেছিলাম।তোর নামে এসব কথা আমার বিশ্বাসই হচ্ছে না।আমি তোর মুখ থেকে পুরো ঘটনার এক্সপ্লেইনেশন শুনতে চাই।'

তুলি আদিবাকে ঠিক সেই ব্যাখ্যাটাই দিলো যেটা সে সকালে মিনিকে দিয়েছিলো।মিনি খেঁকিয়ে বলে উঠলো,

—'ফোনের আওয়াজ এত জোরে হয়?আর আমি স্পষ্ট শুনতে পেয়েছি ও মা মা বলছিলো।আর এখন ও মাকে মামি বানিয়ে দিয়েছে।মিথ্যে কথা বলছে ও।পুরোটাই মিথ্যে। '

—'আপা আমি মিথ্যে বলছি না বিশ্বাস করো।আমি কেন মিথ্যে বলবো?আমি কি এমন মানুষ যে তোমাদের ক্ষতি করবো?আপা তোমার যদি বিশ্বাস না হয় তুমি এক কাজ করো। আমার ঘরে চলো।তুমি আমার পাশে বসে থাকবে আর মামিমা না হয় আমাকে কল করবে।আমি লাউডে দিয়ে রাখবো ফোন।তারপর মামিমা আর বড়মা শুনে নিবেন ঘরের বাইরে থেকে কেমন শোনা যায়। '

—'তুলি কিন্তু ঠিকই বলছে মা। মা, মামি আপনারা এই পরীক্ষাটা করে দেখুন না।তাহলেই তো সব প্রমাণ হয়ে যাবে। '

আদিবা আর কারো কথা শোনার অপেক্ষা করলো না।তুলি ধরে উঠিয়ে নিয়ে চলে গেলো ঘরে।তুলির ফোন থেকে ডায়াল করলো তার মামি অর্থাৎ মিনির নাম্বার। মিনি আর রিয়াও ততক্ষণে দরজার বাইরে এসে দাঁড়িয়েছে। আদিবা দরজাটা ভিড়িয়ে রেখেছে।মিনি কল রিসিভ করতে আদিবা বলে উঠলো,

—'কেমন শোনা যাচ্ছে মামি?'

দরজার ওপাশ থেকে মিনি বললেন 'আমি কথা বললে তবে তো বুঝবো।' কথাটা বলে তিনি নিজেই চমকে গেলেন। বিস্ফোরিত হয়ে উঠলো তার চোখ কেননা তিনি নিজের বলা কথার সাথে ঘরের ভেতর ফোন থেকে আসা তার কণ্ঠও শুনতে পাচ্ছেন।আর কণ্ঠটা সম্পূর্ণ স্পষ্ট। আদিবা ওপাশ থেকে হ্যালো হ্যালো করেই যাচ্ছে। মিনি কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন,—'হ্যাঁ বলো।'

আবারও সেই একই ঘটনা ঘটলো।সকালে তিনি সেই পুরুষের কণ্ঠ যতটা স্পষ্ট আর জোরে শুনেছিলেন তার কণ্ঠও ঠিক তেমনি শোনাচ্ছে। তিনি বুঝতে পারলেন যে তুলি সত্যিই বলেছে।লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গেলো।আর কিছু বলার বা করার মুখ নেই।তিনি কলটা কে'টে দিয়ে দৌড়ে উপরে তার ঘরের দিকে চলে গেলেন।এদিকে দরজা খুলে রিয়া চৌধুরী আশ্বস্ত করলো আদিবাকে।তুলি তখনো কেঁদে চলেছে। তুলিকে বুকে জড়িয়ে একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো আদিবা।মেয়েটাকে সে বড্ড ভালোবেসে ফেলেছে।


(রিচেক দিতে পারিনি।তাড়াহুড়োয় লেখা।)


চলবে...?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

তুমি আসবে বলে পার্ট ১৩

আমার তোমার তোমাদের গল্প পার্ট ১

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ২