নীল রক্ত পার্ট ৯-১০-১১
৯+১০+১১
#নীল_রক্ত
MD Neel Mahmud
পর্ব-০৯
,
রিতুর রক্ত দিয়ে অভিশাপ মুক্ত হবে রিভার্স, এই কথা রিতু চমকে যায়,
ঘুম ভেঙে যায় রিতুর নিজেকে মেঝেতে আবিষ্কার করে,
চার দিক তাকিয়ে দেখে এটা নীলের বাসা অজ্ঞান হয়ে ছিলো, মানে এটাও স্বপ্ন ছিলো কিন্ত এখন রিতু পড়ে গেলো
বিপাকে কোন টা স্বপ্ন কোন টা বাস্তব
বুঝার উপায় নাই,এই দিকে পাঠক পাঠিকাদের মাথা গরম কারণ গল্প টা পড়ে কিছুই বুঝছে না মাথা আউলা ঝাউলা হয়ে গেছে,
কিন্ত চিন্তা করবেন না গল্প গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার,
রিতুর ভাবলো এখন এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব সেটা নির্ধারণ করবে কি ভাবে,
তখন রিতুর একটা মুভির কথা মনে পড়লো স্বপ্নে চিমটি দিলে নাকি ব্যথা পাওয়া যায় না,
তাই এক হাত দিয়ে আরেক হাতে চিমটি দিলো অনেক জোরে, ব্যথায় নিজেই উফফ বলে উঠলো তার মানে বাস্তবে আছে,,
ফ্লোর থেকে নিজে কে উঠায় রিতু,হঠাৎ মনে পড়ে মেয়ে দুটো কার ছিলো আর কে?
দিন যতই যাচ্ছে একটার একটা ঝামেলা দেখা দিচ্ছে,
এর একটা বিহিত করা দরকার,
কিন্ত নীল কে নিয়ে যে বসবে কথা গুলো বলবে কিন্ত নীলের সামনে গেলে
কিছুই মনে থাকে না,
আর নীল কে রহস্যময় ছেলে মনে হয়,
নিজে পুলিশ বলেই কি এমন হচ্ছে কারণ পুলিশের মন তো সন্দেহের মন মানুষ দেখলেই মনে হয় ও মনে হয় অপরাধী,,,,,
রিতু ভাবলো চাকরি টা মনে হয় ছেড়ে দেওয়া দরকার কিন্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দরকার মেয়ে দুইটা কে আর নীলের শরীরে কেনো নীল রক্ত, আর নীলের দাদু কই,
নীল হসপিটাল থেকে বাসায় ফিরলো
আর রিতু পুলিশের চাকরি ছেড়ে নীলের বাবার ব্যবসা দেখাশোনা করতে লাগলো,
আর নীলের দিকে নজর রাখছে নীল কোথায় যায় কি করে,
নতুন কলেজ নীলের প্রতিদিন রিতু গাড়ি করে নীল কে কলেজে ছেড়ে যায়,
নীল তখন ক্লাসে বসে খাতায় কিছু লিখছিলো,
এমন কলেজের ফাস্ট গার্ল গুন্ডি মেয়ে
ফারিয়া এসে নীলের খাতার উপর থাবা
দেয়,
নীল- কি চাই?
ফারিয়া - তোমাকে চাই?i Love you?
নীল- আমি বিবাহিত.
ফারিয়া- হিহিহিহি।
-আমার কথা শুনে হাসলেন কেনো।
--হাসি পাওয়ার মতো কথা বললে না হেসে কি কান্না করবো,
-যা সত্যি আমি তাই বলছি।
-সত্যির খেতা পুড়ি,কাল থেকে আমার সাথে প্রেম করবে এটাই ফাইনাল না হলে তুলে নিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো,
নীল আবার বিয়ের কথা শুনে বোতলের সিপি টা খোলে ঢকঢক করে এক বোতল পানি খেয়ে ফেলে তার বলে,,
--এই সব কি বলেন।
--বেশি কথা বলবি না,তোকে খুব ভালবাসি,
বলে চলে গেলো,
ফারিয়া দেখতে আসমানের নীল পরীর মতো দেখতে সুন্দরী, কিন্ত একটু চঞ্চল, একটু বললে ভুল হবে অনেক,
ফারিয়ার বাবা উপজেলার চেয়ারম্যান তাই হয়তো এত পাওয়ার দেখায়,
একটা ছেলে এসে বলল,আরে নীল তোর কপাল তো খোলে গেলো,
ফারিয়ার মতো মেয়ে তোকে প্রপোজ করে গেলো,
কিন্ত নীল কারো কথায় কান না দিয়ে কলেজ থেকে বের হয়ে যায়,
ব্যাগ গুছিয়ে নিয়ে,
নীল ২টা ক্লাস বাদ দিয়ে বাসায় চলে যায়,
বিকেলে নীল বসে টিভি দেখছিলো,
এমন সময় অফিস থেকে ফিরে এসে বলল,
রিতু- তুমি ২টা ক্লাস করনি কেনো।
নীল- আপনাকে কে বলল,
রিতু- কলেজ থেকে মেসেজ আসছে ২টা ক্লাস করনি কেনো,
নীল- এমনি ভালো লাগেনি তাই চলে আসছি,
রিতু- আচ্ছা, কাল থেকে পুরা ক্লাস করবা,
নীল- হুম।
রিতু- দুপুরে খাইছো,
নীল- হুম,
রিতু- আচ্ছা টিভি দেখো তাহলে,
রিতু ড্রেস চেন্স করে এসে দেখে নীল টিভিতে ইমরান হাশমির সেই পুরোনো আশিক বানাইয়া গান টা মনোযোগ দিয়ে দেখছে,
রিতু তা দরজার আড়াল থেকে দেখছে
রিতু মানা করলো না,কারণ দেখে কিছু শিখুক,
কিন্ত রিতুর হাতে থাকা ফোন বেজে উঠে আর নীল ফোনের শব্দ শুনে
চ্যানেল পাল্টে দেয়,
পরেরদিন নীল কলেজে যাবে রিতু খেওয়াল করলো নীলের চোখ দুটো কেমন জানি নীল নীল লাগছে,
রিতু প্রতিদিনের মতো নীল কলেজে নামিয়ে অফিস চলে যায়,
নীল ক্লাসে যাবে এমন সময় ফারিয়া নীলের পথ আটকে দাঁড়ায়,
--কি জানু কি ভেবে চিন্তে দেখলা,আমাকে ভালবাসবা তো,
নীল নিচের দিকে তাকিয়ে আছে কিন্ত ফারিয়া আবার গাঁয়ে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে আমাকে ভালবাসবে বলো নীল,
আমি মজা করছি না নীল,আমি যেদিন তোমাকে প্রথম দেখি সেদিনি তোমার প্রেমে পড়ে গেছি,
নীল- আমি বলছি, আমি বিবাহিত আমাকে যে প্রতিদিন নামিয়ে দিয়ে যায় উনি আমার ওয়াইফ,
ফারিয়া - তুমি ১০টা বিয়ে করলে আমার কোন আপত্তি নাই,আমি শুধু তোমাকে চাই,
ফারিয়া এরকম করে কোন দিন কারো কাছে রিকুয়েষ্ট করিনি যতটা না নীল কে করছে,
নীলের চোখ দুটো পুরো নীল হয়ে গেছে,।।
নীল- আমার জন্য তুমি কি করতে পারবে,
ফারিয়া- তুমি যা বলবে আমি তাই করবো,
নীল কলেজের ছাদ টা আঙুল দিয়ে দেখিয়ে বলল ঐ খান থেকে লাফ দিতে পারবে,
।
ফারিয়া - তুমি বললে আমি অবশ্যই পারবো,,,
নীল- চল ছাদে যাই লাফ দিবে,
নীলের কথা শুনে ফারিয়া চলল ছাদে,
নীল বলল এবার লাফ দেও,
ফারিয়া আস্তে আস্তে রেলিঙের কাছে গেলো নিচে তাকাতেই বুক টা কেঁপে উঠে,
ফারিয়া - আমি লাফ দিতে পারবো না,আমি চললাম আমার ভালবাসা লাগবে না,,,
নীল ফারিয়ার চুলের মুটি টা ধরে বলল,আমার যে খুনের নেশা উঠছে এটা থামাবে কে চল তোকে মরতেই
হবে,
নীল টানতে টানতে ফারিয়াকে ছাদ থেকে ফেলে দিলো,,
৫তলা থেকে ফারিয়াকে ফেলে দেওয়া হল,ফারিয়ার এক সাইড থেতলে গেছে রক্ত ভেসে গেছে,পুরো কলেজ ধমকে গেছে ক্লাস থেকে সব স্টুডেন্ট স্যার বের হয়ে আসছে,
(চলবে)
#নীল_রক্ত
MD Neel Mahmud
পর্ব-১০
,
আমি নীল, মাথায় একটাই কোথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো, কেউ কে খুন করতে হবে না হলে আমার শান্তি লাগবে না,
আমার কাছে খুন করা একটি নেশা যা মাঝে মাঝে ভয়াবহ রুপ ধারণ করে,
পাকা পেঁপে যেমন উপর থেকে ছেড়েব দিলে থেতলে যায় তেমনি ফারিয়ার
দেহটা হয়ে গেছে,
আর ফারির মাথাটি একটি ইটের উপর পড়ায়, মাথা ফেটে রক্ত বের হচ্ছে
আর মস্তক গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে
পড়ে আছে,
আর পেট থেকে ভুরি টা একটু দূরেই পরে আছে আর অর্ধেক টা পেটে,
এই সব দেখে কলেজের অনেক স্টুডেন্ট জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে,
কিন্ত নীল পিছন থেকে মুখ লুকিয়ে হাসতে লাগলো,
দাঁত বের করে,
নীল খুনের নেশায় আছে,
নীলের মনে এখন একটু শান্তি লাগছে,
নীলের সৌভাগ্য যে নীল কে কেউ দেখে নাই,
না হলে ফেঁসে যেতো,
পরেরদিন একটা স্যারও কলেজে নেই
সব জেলে,
ফারিয়ার বাবা মামলা করেছে কলেজ চলাকালীন কি ভাবে একজন স্টুডেন্ট ছাদ থেকে পড়ে,
ফারিয়ার বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ায় বড় বড় নেতাদের সাথে ভালো লিংক আছে,
তার জন্য কলেজে এত তোলপাড় হচ্ছে,,
পুরো কলেজ অফ ফারিয়া হত্যার তদন্ত চলছে,
প্রত্যেক স্টুডেন্টদের বাসায় বাসায়
গিয়ে গোপনে তদন্ত করা বা সাধারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে,
ফারিয়ার বাবার এক কথা তার মেয়ে আত্নহত্যা করেনি খুন করা হয়েছে,
শুধু হত্যাকারি কে একবার দেখতে চাই,
রিতু অফিসের চাপে কিছুদিন ধরে
নীল কে কলেজে ছেড়ে যেতে পারে না,
তাই কলেজে কি হয়েছে তা জানে মা
রিতু,
তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছেন ওসি আকবর
সেই আকবর যে নীল কে একবার
এরেস্ট করেছিলো,
তিনি আবার বদলি হয়ে এসেছেন এবার হয়তো পুরো ঝামেলাই হবে,
রাত ১১টা বাজে হঠাৎ কলিং বেল চেঁচিয়ে উঠলো,
রিতুর ঘুম ভেঙে যায় চোখ খোলে দেখে নীল রিতু কে জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে,
নীলের ছোট ছোট নিশ্বাস রিতুর গলায় পড়ছে,
নীল কেমন করে ঘুমুচ্ছে তা রিতু
দুচোখ ভরে দেখছে,
আবার কলিং বেল টা ভেজে উঠলো,
এবার রিতু বিরক্ত বোধ করলো
দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলো রাত ১১টা ৫ বাজে,,
এত রাতে আবার কে আসলো,
ইচ্ছে থাকা না সত্ত্বেও আস্তে আস্তে উঠে দরজা খোলে দেখে সেই ওসি আকবর দাঁড়িয়ে আছেঅবাক হয়ে যায় রিতু এনি আবার এখানে কেনো,
রিতু- আপনি?
- জ্বি আমি অবাক হচ্ছেন বলছিলাম না আবার দেখা হবে,দেখা হয়ে ভালই লাগলো,
-কি চান এতে রাতে সেটা বলেন,
রিতু ভুলে ওড়না টা বিছানায় ফেলে চলে আসে ফলে রিতুর দেহের কিছু অঙ্গ ওসির নজর পড়ে,,,
ওসি- কি চাই এত রাতে বুঝতে পারেন না,,কু নজরে তাকায়,
রিতু- মানে?
--মানে হচ্ছে এটা তো নীলের বাসা,
--জ্বি তো।
--আমরা নীলের সাথে দেখা করতে চাই,
---কারণ বলেন, নীল কে কি দরকার।
--নীলের স্কুলে একটা মেয়ে খুন হয়েছে সেটার জন্য প্রত্যক স্টুডেন্টদের বাসায় গিয়ে সাধারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে,,
-এত রাতে একটা স্টুডেন্ট এর বাসায় আমাকে কি আইনকানুন শিখাবেন আবার,, কোন ওয়ারেন্ট আছে দেখান দেখি,
এইবার ওসি আকবার ভেবাচেকা খেয়ে যায় সত্যি তো এত রাতে আশা ভুল হয়েছে আর ঠিকানা টা খেয়াল করা হয়নি তাহলে দিনেই আসতাম,
ওসি- ওকে তাহলে কাল দিনে আসবো তখন তো বাধা দিতে পারবেন না,
রিতু চিন্তায় পড়ে গেলো নীলের কলেজে
খুন আর নীল তা রিতু কে বলেনি,
রিতু খাটের উপর উঠতেই
বৃষ্টি পড়তে লাগলো,
আর হাল্কা বাতাস,
রিতু বিছানা থেকে নেমে জানালার কাপড়গুলো টেনে দিলো,
মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে তাই,
সব কাজ শেষ করে ঘুমঘুম চোখে বিছানার উপর ধপাস করে শুয়ে পড়ে,
রিতু শুতেই নীল রিতুর গাঁয়ের উপর দিয়ে এক হাত দেয়,
রিতুর চোখ গুলো তখন গোল গোল আকার ধারণ করে কারণ হাত দিছে রিতুর বুকের উপর দিয়ে,
রিতুর চোখের ঘুম গুলো তখন দৌড়ে পালায়,
নীল তখন রিতু কে চাপ দিয়ে ধরে এক টানে নিজের বালিশে নিয়ে আসে,
রিতু বোকার মতো শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে,
তারপর নীল এক হাত দিয়ে এক দিয়ে রিতুর গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁটে স্পর্শ করে,,,
আর চোখের পলকেই পিচ্ছি ছেলেটা
রিতুর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট টা ডুবিয়ে দেয়,
রিতু তো পুরাই আশ্চর্য হয়ে গেছে তার পিচ্ছি জামাইটা এত বড় হয়ে গেছে জানাই ছিলো না,
নীলের হাত টা তখন রিতুর...... বাকিটা ইতিহাস,
সব শেষে নীলের উলঙ্গ ক্লান্ত দেহ টা রিতুর দেহের উপর, নীলের মাথা টা রিতুর বুকে।
রিতু তখন বলল এখন উঠো,
রিতু নীলের মাথা ধরে তুলে কপালে কিস করে মুচকি হাসি দিয়ে মুখের দিকে তাকাতেই
রিতু চিৎকার দিয়ে বিছানা থেকে পড়ে যায় কারণ,,
বিঃদ্রঃ ভালো লাগলে অবশ্যই জানাতে ভুলবেন না,লাইক অথবা কমেন্ট করে,,,
(চলবে)
#নীল_রক্ত
MD Neel Mahmud
পর্ব-১১
,
নীলের চোখগুলো নীল রঙের ডিব্বা হয়ে গেছে,।
আর নীল বার বার মাথা ঝাকাচ্ছে,
নীল রঙ চলে যাচ্ছে আবার মনে নীল রঙ গুলো চেপে ধরেছে মনে হচ্ছে,
রিতু মেঝেতে বসে ভয়ে জড়সড় হয়ে
দেখছে,
দীর্ঘ ৫মিনিট পর নীল ঠিক হয়,
এবার রিতু জিজ্ঞেস করে৷,,
রিতু- তুমি আসলে কে?তোমার চোখ নীল হয়ে গিয়ে ছিলো কেনো।
নীল-- চুপ।
রিতু- বলো তোমার চোখ নীল কেনো,
নীল--চুপ।
রিতু- কথা বলছো না কেনো।
নীল কোন কোথা বলছে না চুপ করে আছে,
নীলের মায়া শক্তি এখন কাজ করছে না,
এবার বাধ্য হয়ে রিতু কে উত্তর দিতে হবে,
না হলে কোন ঝামেলা হতে পারে,,,
নীল তখন মুখ খুললো,
নীল- আমি নীল না,তোমরা যে নীল ভাবছো আমি সে নীল না,
রিতু- অবাক চোখে তাকিয়ে আছে নীলের দিকে,,
রিতু- তাহলে তুমি কে? আর রিয়েক নীল কোথায়,
নীল- রিয়েল নীল আর তার পরিবার এখন লন্ডনে আছে,,,
রিতু- তুমি কে?
নীল- আমি ইথান,গ্রিস এর অ্যাথেন্স শহরে থাকি,আমি এখানে এসছি এক দানবের ভয়ে, যার নাম রিভার্স অভিশপ্ত দানব,
রিতু- সে কি কালো, কালো বিশ্রী দেখতে আর সাথে একটা শেয়াল থাকে,
নীল- ইয়েস ইয়েস রিভার্স কোথায় দেখছো তুমি তাকে,রিভার্স এখানেও চলে আসছে,,
রিতু- আমি তাকে স্বপ্নে দেখেছি,
সে আমাকে ধরে নিয়ে গেছে আমার রক্ত দিয়ে সে অভিশাপ মুক্ত হবে,,,
নীল- এর অর্থ হলো আমাদের মেয়েদের ধরে নিয়ে যাবে,
রিতু- তোমার মেয়ে মানে?
নীল হাতের ইশারা দিতেই দেওয়াল দুভাগ হয়ে কাঁচের দরজা বের হলো,
আর সেখান থেকে দুটি বাচ্চা মেয়ে বের হলো যাদের কে হসপিটালে দেখে ছিলো,
মেয়ে দুটো দেখতে বেশ কিউট দেখলেই জরিয়ে ধরতে ইচ্ছে করে,
রিতু তাদের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে আছে,,,,
বাচ্চা দুটো কে দেখে রিতুও ভাবনার জগতে হারিয়ে গেলো যদি আমার এমন দুটি মিষ্টি বাচ্চা হতো,
নীলের ডাকে রিতু ভাবনার জগত থেকে ফিরে,
মেয়ে দুটোর চোখ নীল,
তার জন্য আরও চমৎকার লাগছে,
নীল-আমার মেয়ে হেলেন আর হেলেনা।
রিতু এবার নীলের দিকে প্রশ্ন ছুড়ে দিলো তাহলে আমাকে এই সবের মধ্যে জড়ালে কেনো,আমার কি দোষ আমার জীবন নষ্ট করলে কেনো,।
নীল- আমি তোমার কাছে না পৌছালেও রিভার্স ঠিকি তোমার কাছে চলে আসবে,,,
রিতু- কি কি আমি কি করছি,আমার কাছে আসবে কেনো,
নীল- কারণ তোমার মাথা টা তার লাগবে,,
রিতু ভয়ে মাথায় হাত দিয়ে আআমার আমার মাথা দিয়ে কি হবে,,,,
নীল-আমি বলতে পারবো না,এখানে ছোট বাচ্চা আছে,
রিতু-আপনি মিথ্যা বলছেন কারণ আমি তো গ্রিসের মানুষ না,,
নীল- তোমার পিঠে নীল একটা দাগ আছে দেখো,,,
রিতু- মনে মনে আমার পিঠে দাগ আগে থেকে জানে কেমনে,
রিতু জিজ্ঞেস করলো হেলেন আর হেলেনার মা কোথায়,
নীল তখন মেয়ে দুটোর দিকে তাকিয়ে চোখের পানি ছেড়ে বলল,
রিভার্স এর হাত থেকে হেলেন আর হেলেনা কে বাঁচাতে গিয়ে রিভার্স এর হাতে নিজের জীবন বিলিয়ে দেয়,
বাবার চোখে কান্না দেখে হেলেন আর হেলেনা দৌড়ে এসে বাবা বাবা বলে ঝাপটে ধরে,,,
আর নীলের চোখের পানি ছোট ছোট হাত দিয়ে মুচে দেয়,,,
রিতুর কাছে অনেক ভালো লাগে মেয়ে দুটো কে?
হেলেন একটু চঞ্চল টাইপের মেয়ে হঠাৎ জিজ্ঞেস করে বসে,,
হেলেন- বাবা উনি কে?(রিতু কে দেখিয়ে)
নীল পড়ে যায় বিপাকে এখন মেয়ে কে কি বলবে,রিতু তাকিয়ে আছে নীলের
দিকে, আর রিতু মনে মনে চাইছে মা বলুক, কারণ এরকম কিউট দুইটা মেয়ের মা হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার,
কিন্ত নীল কিছু বলছে না চুপ করে আছে,
কিছুক্ষণ পর নীল বলল,
মা তোমরা এখন যাও পড়ে বলবো,
নীল বলার সাথে সাথে মেয়ে দুটো দেওয়ালের সামনে গিয়ে দাঁড়ালো
দরজা বের হলো আর উধাও নাই,
আহা কি নম্র ভদ্র মেয়ে,, কিন্ত
এবার রিতু নীলের দিকে রাগান্বিত
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে,,,,,
নীল- এভাবে তাকিয়ে আছেন কেনো,
রিতু- আপনি ওদের বললেন না কেনো,
আমি ওদের মা হই,
নীল- বলার সময় আসুক তারপর বলবো,
রিতু- তা আপনাকে কি বলবো ইথান নাকি নীল,
নীল- এখানে তো আমি নীল তাই নীল বলবেন,
রিতু- আচ্ছা আপনি আমার বড় হবেন নাকি ছোট মানে দুইটা মেয়ে আছে তো তাই,,
নীল-আপনার বড় আমি,
রিতু- তাহলে তো নাম বলা যাবে না,তার মধ্যে আবার জামাই,
আচ্ছা তোমার পাশে কি ঘুমাতে পারবো নাকি আলাদা,
নীল - তোমার ইচ্ছে,
রিতু- আসল কাজ করে এখন আমার ইচ্ছে,,, পুরুষ জাতি বড়ই অদ্ভুত,,
সেটা দুনিয়ার যে প্রান্তেরই পুরুষ হোক,,
দুজন এক বিছানায় ঘুমালো,
নীল নিশ্চিতে ঘুমাচ্ছে কিন্ত রিতুর ঘুম আসছে নীলের এই অদ্ভুত কথা শুনে,
খুব টেনশন হচ্ছে,
এরকম এই চিন্তা সেই চিন্তা করতে করতে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় রিতু,
সকালের সূর্য মামার আলো চোখে পড়তেই রিতুর ঘুম ভেঙে যায় অনেক দেড়ি করে আজ ঘুম থেকে উঠা হয়েছে
অফিস যেতে হবে,
তারাহুরো করে শাওয়ার নেয় রিতু, এদিকে নীল উঠে নাই,
তাকেই ঠাকতে হবে নাস্তার কথা বলতে হবে,
মাঝে মাঝে রিতুর রাগ হয় ঘরে সকাল বেলা মেয়েদের কম কাজ নাকি পুরুষ রা তো পড়ে পড়ে ঘুমায় সকালে,,,
নীল কে ডেকে দরজা খোলে বাহিরে যেতেই মনে পড়লো আজ তো শুক্রবার অফিস নাই,
রিতু - ধুর ছাঁই কি যে করি আজ শুক্রবার মনেই নেই,
এমন সময় পত্রিকা ওয়ালা হাজির শুক্রবারে একটু দেড়ি করে পত্রিকা দেয় মানে ১০টার সময়, আর এমনি দেয় ৮টার সময়,
হতাশ হয়ে পত্রিকা হাতে নিয়ে সোফায় বসে পড়লো, এমনি পত্রিকা পড়া হয় না শুক্রবার ছাড়া,
পত্রিকা টা চোখের সামনে মেলে ধরতেই বড় বড় অক্ষরে লিখা পুলিশের গাফিলতিতে অপরাধী পলাতক,
বিস্তারিত পড়তেই রিতুর চোখ কপালে উঠলো কারণ যে পালিয়েছে সে রিভার্স,
রিতুর কল্লাতে হাত দিয়ে বসে রইলো,
কিছুক্ষণ পর নীল কে ডেকে তুলে বলল,
নীলের মুখ টা আরো মলিন দেখাচ্ছে কারণ রিভার্স বের হওয়া মানে নীলের খুনের নেশা বেড়ে যাওয়া আর শারীরিক সম্পর্ক মানে ধর্ষণ,
এই কথা রিতু জানতে পারলে এক মুহুর্ত নীলের কাছে থাকবে না,
রিতু অফিসের ড্রেস চেন্স করার জন্য অন্য রুমে গেলো, রিতু নিজেকে উলঙ্গ করে আয়নায় নিজে মেলে দেখছে হঠাৎ মনে পড়লো আমার পিঠে যে দাগ আছে তা কখনো দেখা হয় না,
তাই রিতুর ইচ্ছে হলো দেখার রিতু ঘরে গেলো আয়নার সামনে থেকে,আর কাধের উপর দিয়ে ঘাড় ঘুরিয়ে আয়নায় তাকাতেই চিৎকার দিয়ে বের হয় রিতু কারণ আয়নায় রিভার্স কে দেখতে পায়,,,
বিঃদ্রঃ থ্রিলার গল্প লিখতে সময় একটু বেশি লাগে এতে গল্প ভালো হয়,,,,,, আর আগের মতো রেসপন্স পাই না,লাইক কমেন্ট দুটোই কমে গেছে এমন করে চললে গল্প টা মাঝ পথে থামিয়ে দিবো,
(চলবে)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন