পোস্টগুলি

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ১১

 বেপরোয়া_প্রেমঘোর  লেখিকা—প্রিয়া(ছদ্মনাম) Priya's Story পর্ব ১১ ডক্টর সীমা এসেছেন আদির বাড়িতে।মূলত কাল আদির তার সাথে দেখা করতে যাওয়ার কথা ছিলো।বিভিন্ন প্রেশারে আদি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলো সে কথা।আজ তিনি ফোন করার পর আদি এ কথা বলতে ডক্টর সীমা নিজেই প্রস্তাব রেখেছেন বাড়িতে আসার। কেউ নিজে থেকে এ কথা বললে তাকে আর কি করে না করবে আদি?তাই বাড়ির ঠিকানা জানিয়ে দিয়েছে।আদি নিজে গিয়ে নিয়ে আসতে চেয়েছিলো কিন্তু সীমাই না করেছেন।সোফায় বসে আদিবাকে খুঁজছেন সীমা।তিনি এখানে আদিবার অবস্থা দেখতেই এসেছেন। কিয়ৎক্ষন পর নিচে নামলো আদিবা।তাকে দেখে একদম সুস্থ মনে হচ্ছে। আদি তাকে বলেছিলো সীমার আসার কথা তাই সে অবাক হলো না।হেঁটে গিয়ে সীমার পাশে বসে বললো, —'কেমন আছেন আন্টি?আপনি এভাবে আমার খোঁজ নিতে বাড়িতে চলে আসবেন আমি ভাবতেই পারিনি। আমি খুব খুশি হয়েছি আন্টি।' —'ভালো আছি মা। আমি ভাবলাম তুমি তো অসুস্থ। যেতে কষ্ট হবে ওত দূরে।নিজে থেকে একবার তোমার সাথে কথা বললেই ভালো হতো।সেজন্যই চলে এলাম।তো বলো তুমি কেমন আছো?সেদিনের পর থেকে কি আর কিছু ঘটেছে?অস্বাভাবিক কিছু?' —'না আন্টি।সেদিন বাড়ি ফিরে আসার পর থেকে

তুমি আসবে বলে পার্ট ১৪

ছবি
  তুমি আসবে বলে   নুসাইবা ইভানা  পর্ব-১৪ (বোনাস পার্ট) (প্রথম দেখা) নীলু শান্ত স্বরে বললে আমাদের রাস্তা ছেড়ে দিন আমাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই তাহলে কেনো রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছেন! - আহারে বেবি তোমাদের কষ্ট হচ্ছে দাঁড়িয়ে থাকতে তা ফেমাস সিঙ্গার আদিয়াত নুজহাত আরহা যে বিবাহিত সেই সু খবরটা তার ভক্তবৃন্দ কি জানে?  - বাজে কথা বন্ধ করুন আর রাস্তা থেকে সরে দাঁড়ান  - এটাই তো সমস্যা আমার এর জন্যই তো হিয়া নামটা সবার চোক্ষশূল কারণ হিয়া সত্যি কথাটাই বলে  এবার আরহা সামনে এসে বলে অনেক বলেছেন আপনি এবার চুপ করুণ বড় বলে সম্মান করছি তবে নিজের লিমিট ক্রস করলে আমারও ভুলে যাবো আপনি আমাদের বড়।  - ওলে বেবির মুখে দেখি বুলি ফুটেছে তা বেবি এতো বড় হলে কবে শুনি? আমার তো মনে হয় এখনো নাক টিপলে দু*ধ বের হবে তার কথার কি ঝাঝ।  - আপনার মতো নিম্ন মানের মানুষের সাথে কথা বলতেও ঘৃণা হয়।  - এই তোর লজ্জা করেনা তিন তিনজন মানুষকে হত্যা করে এভাবে ঘুরছিস! আমি হলে কবেই গ*লা*য় দ*ড়ি লাগিয়ে ঝু*লে পরতাম।  এবার নীলু তেড়ে এসে বললো মুখ সামলে কথা বলুন বেহায়ার মতো অন্যের বাড়িতে থেকে সেই বাড়ির খেয়ে সেই বাড়ির বউকে অপমান করতে মুখে বাঁধে

তুমি আসবে বলে পার্ট ১৩

  তুমি আসবে বলে   নুসাইবা ইভানা  পর্ব-১৩ নীলু আরহাকে ধরে বলে, কি হয়েছে বনু এমন করছিস কেনো? তুই না চাইলে ইমতিহানের সাথে সব সম্পর্ক এখনি শেষ করে দিচ্ছি। বল আমাকে কি হয়েছে! আরহা চোখ বন্ধ করে রেখে ভাবছে কন্ঠ তো অনেকের একরকম হতেই পারে। আরহার চোখ থেকে টপ, টপ করে অশ্রু গড়িয়ে পরছে। ডান হাতের বাহু চেপে ধরে আছে। নীলু বুঝতে পারছে এরকম আর কিছু সময় হলেই আরহার প্যানিক এট্যাক হবে। সেই ক্ষত স্থান থেকে নীলু আরহার হাত সরিয়ে নিয়ে আরহাকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমার কথা শোন আরহু তুই ছাড়া আমার কেউ নেই! তুই এমন করিস না বনু বল আমাকে কি হয়েছে। আরহা কোন কথা না বলে নীলুকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো। আপু সে আবার ফিরে এসেছে এবার আমাকে মে*রে ফেলবে আপু তুমি আমাকে লুকিয়ে রাখো।  - শান্ত হ আরহু আমি আছি তো কেউ তোর কোন ক্ষতি করতে পারবেনা এদিকে দেখ বোন আমার। আমার দিকে তাকা কার কথা বলছিস কিছু সময় এভাবেই কেটে যায়। আরহা নিজেকে শান্ত করে বলে আপু জানো আজকে জিজুর নাম্বারে কল করার পর একজন ফোন রিসিভ করেছিলো তার কন্ঠটা একদম এতটুকু বলতেই আরহার শরীর কাঁপতে লাগলো।  নীলু আরহাকে বললো, বলতে হবে না ভুলে যা। যা ছেড়ে এসেছিস! আপু যদি সত্যি সত্যি ছোট সা

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ১০

 বেপরোয়া_প্রেমঘোর  লেখিকা—প্রিয়া(ছদ্মনাম) Priya's Story  পর্ব ১০ তুলি মেয়েটিকে নিয়ে বাইরে এসেছে আদিবা।মেয়েটিকে একদম নিজের বোনের মতো ভালোবেসে ফেলেছে কয়েক ঘণ্টায়ই।বাাসবে নাই বা কেন!?মেয়েটা খুব মিশুক আর মিষ্টি। এত সুন্দর করে কথা বলে!প্রতিটা কথায় আপা আপা করে মুখে ফেনা তুলে ফেলে।আদিবা আর তুলি এখন একটা চুড়ির দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।আদিবা তুলিকে বললো, —'কোন রঙের কিনবো বলতো তুলি?বেগুনি/লাল/নীল নাকি সাদা?' —'আপা তুমি যেটাই পড়ো না কেন তোমাকে সুন্দর লাগবে।আমি বলি কি!তুমি সব রঙের চুড়িই ১ ডজন করে কেনো!' —'ঠিক আছে।কিন্তু ২ ডজন করে কিনবো।১ ডজন আমার আর ১ ডজন তোর।তুই একদম না করবি না কিন্তু। এটাই তো এসবের বয়স।এখন সাজগোজ করবি, সুন্দরভাবে ফিটফাট হয়ে থাকবি।দেখবি মনটা ফুড়ফুড়ে লাগবে।' —'আপা আমি তো মামির বাসায় থাকতে কখনো এসব বিলাসিতার কথা মাথায়ই আনিনি।চুড়ি পড়ার কথা তো ভাবিও নি।আমি বলি কি তুমি শুধু নিজের জন্যই কিনো।আমার এসবে আগ্রহ হয় না গো।' —'এই..আগ্রহ হয়না মানে কি হ্যাঁ?এই বয়সে চুড়ি পড়বি না তো কি বুড়ি হলে পড়বি?তুই একদম চুপ থাক।আর কোনো কথাই বলিস না।' আদিবা নিজে পছ

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ৯

 বেপরোয়া_প্রেমঘোর  লেখিকা—প্রিয়া(ছদ্মনাম) Priya's Story  পর্ব ৯ ওপাশ থেকে সীমাই লাইন কে'টে দিলেন।আদিবা ফোন হাতে নিয়ে সামান্য হাসলো।কারণ সে আসলে কোনো ঔষধই খায়নি।বলতে গেলে কোনো এক অজানা কারণেই আদিবার এখন আর ভয় করছে না।এই ঝামেলা থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে পারলেই তার সম্পূর্ণ স্বস্তি।দরজা খোলার শব্দে সামনে তাকিয়ে আদিকে দেখতে পেলো আদিবা। আদির হাতে একটা স্যুপের বাটি।আদি আদিবার কাছে এসে বাটিটা পাশের টেবিলে রাখলো।তারপর বিছানায় আদিবার পাশে বসে তাকে জিজ্ঞেস করলো, —'কেমন লাগছে এখন?' —'আলহামদুলিল্লাহ ভালো।' —'এখনো ভয় করছে?' —'না তেমন না।' —'মা চিকেন স্টু বানিয়ে পাঠিয়েছে। খেয়ে নাও।' —'আমার এখন খেতে একদম ইচ্ছে করছে না।আমি ঘুমাবো একটু। সারারাত ঘুম হয়নি।' —'সেটা তো আমিও জানি আদিবা।কিন্তু এই কয়েকদিনে তোমার শরীর থেকে কত ব্লাড লস হয়েছে কোনো আইডিয়া আছে তোমার? সেই ক্ষতিটা পূরণ করতে হলে তোমাকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।র'ক্তশূন্যতায় ভুগবে নাহলে।' —'আমি ঘুম থেকে উঠে তারপর খাই না প্লিজ!' —'বাচ্চাদের মতো কথা বলো না আদিবা।তুমি ত

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ৮

 বেপরোয়া_প্রেমঘোর  লেখিকা—প্রিয়া(ছদ্মনাম) Priya's Story  পর্ব ৮ পাশাপাশি রয়েছে তিনটি রুম।১ম রুমটিতে আবছা নীল বাতি জ্বলছে রুমটিতে।মেঝেতে পড়ে থাকা আধা শুকনো র'ক্তও নীলাভ রঙ ধারণ করেছে।হাত পা বাঁধা প্রাণীগুলো এলোমেলো ভাবে একজন আরেকজনের উপর শুয়ে আছে।শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত।বেশ গভীর ক্ষত। ঠিক পাশের রুমটিতেই জ্বলছে রেড লাইট।রুমে রয়েছে একটি স্ট্রেচার।লা'শ সংরক্ষণের জন্য ফ্রিজ ও চারপাশ ভর্তি শেল্ফে শ' খানিক বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। একটা ফরেন্সিক ল্যাবের মতোই দেখাচ্ছে রুমটিকে। এ রুমে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ দাঁড়ালে তৎক্ষনাৎ তার মনে হবে সে ভুল করে হয়তো দোযখে চলে এসেছে।কেমন হিমশীতল ঠাণ্ডা রুমের চারদিকে মৃ'ত্যু মৃ'ত্যু হাওয়া। একেবারে শেষের রুমটি থেকে গুনগুন করে কিসের শব্দ যেন ভেসে আসছে.... ________________ —'এই তাবিজটা গলায় পড়ে নে আদিবা।আমি এটা কবিরাজের কাছ থেকে নিয়ে এসেছি। আদি তোকে নিয়ে চলে যাওয়ার পর পরই আমি আর মিনি গিয়েছিলাম কবিরাজের কাছে।তোর ঘটনাগুলো যেটুকু বলতে পেরেছি তা শুনেই উনি এটা দিয়েছেন।বলেছেন ইনশাআল্লাহ আর কোনো সমস্যা হবে না।দেখ মা তোরা আধুনিক যুগের ছেল

তুমি আসবে বলে পার্ট ১১

ছবি
  তুমি আসবে বলে  (গল্পের নতুন মোড়) নুসাইবা ইভানা পর্ব- ১১ খোলা আকাশের নিচে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজছে আরহা আর নীলু। সামনেই বিশাল পুকুর বৃষ্টির পানি আড়াল করছে আরহার চোখ থেকে গড়িয়ে পরা অশ্রু কণাগুলো।মন খুলে কাঁদার জন্য বৃষ্টি সবচেয়ে বেশি উপযোগী আরহা চিৎকার করে কাঁদছে নীলু একটু দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে। তবে কোন বাঁধা দিচ্ছে না। আরহা আর নীলু এই চার বছরে কত কিছু সহ্য করচছে তা শুধু ওরা দু'জনেই জানে। নীলু মনে মনে ভাবছে, এইটুকু মেয়ের জীবনে যা ঝড় বয়ে গেছে তাতে এ কান্না কিছুই না। কাঁদলে যদি নিজের মনটাকে একটু শান্ত করতে পারে। প্রায় ঘন্টা খানেক কাঁদার পরে নীলু এসে আরহার কাঁধে হাত রাখলো আরহা নীলুকে ধরে বলে কেনো আমার সাথেই এমন হয় বলো, আমি সত্যি অপয়া, অলক্ষী, আমার জন্য সবার খারাপ হয়। আমি এতোটাই হতোভাগা যে আমার সব প্রিয় মানুষ আমাকে ছেড়ে চলে যায়। আচ্ছা তুমিও চলে যাবে তাই না! - এসব কি বলছিস আমি কোথাও যাবো না তোকে ছেড়ে তুই আমার ছোট বোন। বোনকে কখনো একা ছেড়ে যাওয়া যায়! - আচ্ছা আমার বর তো আর কোনদিন আমার কাছে ফিরবেই না। আমি চাইলেও তার মুখ দেখতে পারবো না তাই না আপু?  - ঠিক আসবে একদিন নিজের ভুলের জন্য ক্ষমাও চাইবে। আর ন

তুমি আসবে বলে পার্ট ১২

ছবি
   তুমি আসবে বলে নুসাইবা ইভানা  পর্ব -১২ মেঘ বসা থেকে উঠে চলে আসলো নিজের বাসায় দীর্ঘ  চার বছর পর এই বাসায় আসলো বাড়ির সামনে আসতেই বুকের ভেতর কেমন চিন চিন ব্যথা অনুভব করলো। শ্বাস ভারী হয়ে আসছে। এখনো বাড়িটা আগের অবস্থায় আছে। যে বাড়ীকে সবাই চৌধুরী বাড়ি নামে চিনতো সে বাড়ি আজ পোড়া বাড়ি নামে পরিচিত। পৃথিবীর সবচেয়ে হতভাগা হয়তো মেঘ নিজের বাবা,মার লাশটা পর্যন্ত ছুয়ে দেখতে পারেনি সেদিনের কথা মনে পরলে আজো ভয়ে আত্মা কেঁপে উঠে চোখের সামনে ভেসে উঠে সেই মর্মান্তিক দৃশ্য  একা পা, এক পা, করে এগিয়ে যাচ্ছে বাড়ি ভেতরের দিকে যতো সমানে এগোচ্ছে হার্ট তত দ্রুত উঠানামা করছে। গলা শুকিয়ে আসছে হুট করেই মেঘ থেমে গেলো নাহ মেঘ আর ভেতরের দিকে যেতে পারবে না এখনো কানে বাজছে সেদিনের তার মা,বাবা,আর নীলুর মায়ের আত্ম চিৎকার। অতি দ্রুত সেখান থেকে প্রস্থান করলো। বাহিরে এসে জোড়ে জোড়ে নিশ্বাস নিচ্ছে। চোখের সামনে তিনটি মানুষকে আগুনে পুড়ে দগ্ধ হয়ে ছটফট করতে করতে মৃত্যুর মুখে চলে যেতে দেখলো আর কিছুই করতে পারলো না। মেঘের চোখে অসম্ভব হিংস্রতা দেখা যাচ্ছে। চোখ দুটো দিয়ে যেনো আগুনের ফুলকি বেড় হচ্ছে। নিজের হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাগ নিয়ন্

হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ পার্ট ৩

ছবি
  হাজার_ফুলের_মাঝে_একটি_গোলাপ পর্বঃ৩ লেখিকাঃদিশা মনি শামিমার বান্ধবী মোহনা এসে তার হাত ধরে বলে, 'আমি অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি শামু। আমাকে ক্ষমা করে দিতে পারবি?' শামিমা ভ্রু কুচকে বলে, 'তোকে না কতবার বলেছি আমাকে শামু নামে ডাকবি না। আমার কত সুন্দর একটা নাম আছে শামিমা। আমাকে শামিমা বলেই ডাকবি আর না পারলে ডাকবি না। তবুও এরকম আজেবাজে নামে ডাকবি না।' মোহনা মুখ বাকিয়ে গিয়ে বলে, 'তুই এতো ব্যাকডেটেড কেন? খালি আম্মা-খালাম্মার মতো কথাবার্তা। আমি যেটা বলছি সেটা শোন আগে।' শামিমা মোহনাকে ভালো করে পরখ করে নেয়। মোহনাকে কিরকম অস্থির লাগছে। শামিমার অনুমতি না নিয়েই মোহনা বলতে শুরু করে, 'আসলে ফেসবুকে মায়াবী রাজকন্যা নামে আমার একটা ফেক আইডি আছে। সেই আইডি দিয়ে আমি ললিতের সাথে কথা বলতাম। কথা বলতে বলতে ধীরে ধীরে ওর উপর একটা আসক্তি তৈরি হয়। তাই ওকে বলি ওর সাথে দেখা করব। দিনের বেলা তো ভার্সিটি,টিউশনি এসবেই চলে যায়। তাই আমি ওকে বললাম রাতে দেখা করতে। তুই তো জানিস আমার বাবা-মা কেমন? কোনদিনও আমায় রাতে বাড়ি থেকে বের হতে দিত না। তাই আমি ফন্দি করে তোদের সবাইকে নিয়ে পিকনিক করতে চলে যাই। আ

তুমি আসবে বলে পার্ট ১০

ছবি
  তুমি আসবে বলে  নুসাইবা ইভানা  পর্ব -১০ সেদিনের পর থেকে আরহাকে পড়ানোর দায়িত্ব মেঘের, মেঘের মনে আরহাকে নিয়ে যে অভিমানের মেঘ জমেছিল তাও কেটে যাচ্ছে আস্তে আস্তে সব কিছু ঠিক চলছে সন্ধ্যে বেলা মেঘ আরহার রুমে আসলো আরহাকে পড়াতে মেঘকে দেখলেই আরহার ভিষণ ভয় হয়। এই তো সেদিন একটু ভুল হয়েছিলো ম্যথে তাই বলে এক ঘন্টা বাগান পরিস্কার করিয়েছে কি বজ্জাত। মেঘ আরহাকে অন্যমনষ্ক দেখে বলে, এসব ভাবনা আমার চলো যাওয়ার পর ভেবে নিও। এখন পড়তে বসো। যা পড়া দিয়েছিলাম কম্পিলিট করেছো?  -জ্বি - ফাইনাল এক্সামের আর কতদিন বাকি আছে? - দু'মাস নয়দিন  -বোর্ড এক্সাম যেভাবেই হোক রেজাল্ট ভালো হতেই হবে।  এর মধ্যে নীলু চলে আসলো নীলুও মেঘের কাছে পড়ে আরহার সাথে।  পড়া শেষ হতেই নীলু চলে গেলো।  আরহা একি ভাবে বসে আছে একটুও নড়ছে না নিজের দু'হাত পেটে রেখে দাঁতে দাঁত চেপে বসে আছে। অপেক্ষায় আছে কখন মেঘ এ রুম থেকে বের হবে।  মেঘ আরহার দিকে খেয়াল করলো চেহারায় কেমন খিঁচে রেখেছে চোখ টলমল করছে, মনে হচ্ছে এখুনি বৃষ্টি নামবে। মেঘ খানিক সময় আরহার দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। উঠে চলে যাবে এমন সময় আরহাকে বললো,আমাকে এক গ্লাস পানি দাওতো! 

তুমি আসবে বলে পার্ট ৯

ছবি
  তুমি আসবে বলে নুসাইবা ইভানা পর্ব- ৯ আরহা রুমে এসে আয়নার সামনো দাঁড়িয়ে মেঘের মতো করে বলে,চোখ কি কপালে নিয়ে হাঁটো? চোখে দেখতে পাও না। হাত নাড়িয়ে অভিনয় করার সময় আয়নাতে খেয়াল করলো তার এক হাতে চুড়ি নেই। হাসি খুশি মুখটা মূহুর্তে চুপসে গেলো। আরহা বেডের উপর, আশেপাশে, ওয়াশরুমে, বারান্দায় সব জায়গায় খুঁজল। না পেয়ে হতাশ হয়ে বেডের পাশে বসে পড়লো কোথায় রেখেছে? এমন সময় নীলু এসে বললো তুমি এখনো গোসল করো নি? তাড়াতাড়ি যাও আরহা মুখ ভার করে ড্রেস নিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলো।  মেঘ ফ্রেশ হয়ে এসে বেডে বসে পরলো, টেনশনে আছে, বুঝতে পারছেনা তার এখন কি করা উচিৎ? বাব, মায়ের কথা মতো থেকে যাওয়া নাকি চলে যাওয়া! এসব ভাবনার মাঝেই হঠাৎ চোখ গেলো সাইড টেবিলে গ্লাসের নিচে কার্ডটির দিকে হাত বাড়িয়ে সেটি নিলো কার্ডটি খুলে ছোট খাটো একটা ধাক্কা খেলো।গোটা গোটা অক্ষরে লেখা। ছোট সাহেব আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। আসলে আমার ইঁদুরের দাঁত তো তাই কামড়ে দিয়েছি। আর কখনো হবে না। ক্ষমা করে দিন। কার্ডটি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো মেঘ। মনে মনে ভাবছে আমাকে বশ করতে চাও এতোটুকু মেয়ে মাথায় কত বুদ্ধি। কার্ডটি ছুরে ফেলে দিলো।  হিয়া কোনমতে বাসা থেকে পালিয়ে মেঘ

হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ পার্ট ২

ছবি
  হাজার_ফুলের_মাঝে_একটি_গোলাপ পর্বঃ২ লেখিকাঃদিশা মনি ললিত ঘরে ঢুকতেই শামিমা গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। ললিতের মনে কামবাসনা জেগে ওঠে। সে শামিমার দিকে এগিয়ে যাবে তখনই শামিমা একটি অবিশ্বাস্য ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। ললিতের ভাবনাকে ভুল প্রমাণ করে শামিমা তার হাতে বালিশ ধরিয়ে দিয়ে বলে, 'আমার সাথে এক রুমে আপনি থাকতে পারবেন না।থাকলে হলে বাথরুমে গিয়ে ঘুমান।' ললিত ক্ষেপে গিয়ে বলে, 'এসব কেমন কথা? আমি তোমার স্বামী। আমার সম্পূর্ণ অধিকার আছে তোমার উপর।' শামিমা তা'চ্ছিল্যের হাসি হেসে বলে, 'আপনার মতো দু'শ্চরিত্র মানুষকে আমি স্বামী হিসেবে মানি না। যেদিন আপনাকে পবিত্র করতে পারবো সেদিনই আপনাকে স্বামী হিসেবে মেনে নেব।' শামিমার কথা শুনে ললিত ভ্রু কুচকে বলে, 'এমন ভাব করছ যেন তুমি খুব ভালো মেয়ে। তোমার চরিত্র ফুলের মতো পবিত্র। তুমি নিজেই তো ফেসবুকে আমার সাথে প্রেম করতে।' শামিমা নিজের কান চেপে ধরে বলে, 'এই কথা শোনাও পাপ। আমি আল্লাহর কসম করে বলতে পারি আমি জীবনে কোন ছেলের সাথে প্রেম করা তো দূরের কথা অপরিচিত কোন ছেলের সাথে কথা পর্যন্ত বলিনি।' ললিত বিদ্রুপের হাসি হেসে বলে,

হাজার ফুলের মাঝে একটি গোলাপ পার্ট ১

ছবি
  ১. 'নিজের ছোট বোনের বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করতে তোর একটুও লজ্জা করল না আপু?'  নিজের ছোট বোন সুমির মুখে কথাটা শুনে ভাবলেশহীন ভাবে শামিমা বলল, 'আমি এখন ললিতের ওয়াইফ। আমরা একটা হালাল সম্পর্কের মধ্যে আছি। তুই এখন আর এসব প্রেমের কথা তুলিস না। ললিত এখন শুধুই আমার।' সুমি অট্টহাসিতে ফে'টে পড়ে। তার এই হাসির মধ্যে তা'চ্ছিল্য ছিল। সুমি শামিমার দিকে আঙুল তুলে বলে, 'আমি তোকে চ্যালেঞ্জ করছি তোর আর ললিতের একসাথে সংসার করা কোনদিনও হবে না। আমি ললিতকে চিনি, ললিত শুধু আমায় ভালোবাসে। তোর জন্য ওর মনে একটুও যায়গা নেই।' শামিমাও চুপ থাকার মেয়ে নয় সুমিকে মুখের উপরেই বলে দেয়, 'দেখি ললিত কার কাছে যায়। নিজের স্ত্রীর কাছে নাকি প্রেমিকার কাছে।' গালে হাত দিয়ে শোফায় বসেছিল ললিত। কোথা থেকে কি হয়ে গেল সে কিছুই বুঝতে পারছে না। সেই স্কুল লাইফ থেকে সুমির সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে সুমির প্রতি বিরক্ত লাগা শুরু হয় তার। তাই সুমির থেকে লুকিয়ে ফেসবুকে 'মায়াবী রাজকন্যা' নামক আইডির অন্য একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে শুরু করে। মেয়েটার সাথে কথা বলে ললিত খুবই প্রসন্ন হয়। কারণ মেয়ে