পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

তুমি অসবে বলে পার্ট ৭

ছবি
  #তুমি আসবে বলে #নুসাইবা ইভানা  পর্ব -৭ আরহা শুয়ে শুয়ে ভাবছে কে এই ছোট সাহেব? তাকে যে আমি চোর সম্মোধন করলাম, এটা যেনে আন্টি যদি আমার প্রতি রেগে যান! আবার হাতে কামড়ও দিয়েছে, সকালে উঠে ক্ষমা চাইতে হবে। শুয়ে থেকে এপাশ ওপাশ করছে ঘুম আসছে না। উঠে বসলো এদিক সেদিক তাকিয়ে কিছু খুঁজত লাগলো না কাঙ্ক্ষিত জিনিসটি পাওয়া গেলো না। হতাশ হয়ে আবার বিছানায় শুয়ে পরলো, তার মা বলেছিল, রাতে ঘুম না আসলে চোখ বন্ধ করে আল্লাহ তায়ালার নাম স্বরণ করতে। তাই করছে আরহা।  নীলুর মা মেঘের দরজায় কড়া নেড়ে বললেন আসবো বাবা,  - হাতে থাকা চুড়িটা ড্রেসিং টেবিলের উপর রাখতে রাখতে বলে আসুন।  - তোমার খাবার রেখে গেলাম খেয়ে নিও, আর কিছু লাগলে আমাকে বলো।আমি বউ মায়ের রুমে আছি। - এই কথাটা ঠিক পছন্দ হলো না মেঘের ওই টুকু বাচ্চা মেয়েকে বউমা বলে সম্মোধন না এটা মানা যায় না।  - আপনি ওকে নাম ধরেই ডাকবেন একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে বউমা ডাকটা ঠিক যায় না।  - নীলুর মা অসম্মতি জানিয়ে বললেন, তা কি কথা বাবা। বয়স যাইহোক সে তো এখন এই বাড়ির বউ তাকে তো সম্মান দিতেই হবে। - সম্মান দিবেন সেটা তো মানা করছি না শুধু বাউমা ডাকবেন না।  নীলুর মা আর কথা বাড়ালেন না।

তুমি আসবে বলে পার্ট ৬

ছবি
  #তুমি আসবে বলে # নুসাইবা ইভানা  পর্ব - ৬ মিসেস মারিয়া মোর্শেদ আফরোজের হাত ধরে বলে, মোর্শেদ আমি কি ভুল করে ফেলেছি মেঘের সাথে আরহার বিয়েটা দিয়ে! দেখো তোমার আমার মাঝেও তো বারো বছরের ডিফারেন্স তাও তো আমরা একে অপরকে ভালোবেসে এক সাথে আছি।সুখে দুঃখে একে অপরের ছায়া হয়ে। আমি ভেবেছি মেঘ ঠিক তোমার মতো আরহার ছায়া হবে।আমার ভাবনাটা কি তবে ভুল ছিলো! আর তাছাড়াও তুমিই বলো ওই মূহুর্তে আমাদের আর কি করার ছিলো! মেঘ ছাড়া আর কার সাথে আরহার বিয়েটা দিতাম! ওই পাহাড়ি মানুষদের হাত থেকে আরহাকে বাঁচানোর এই একমাত্র পথ ছিলো।  - শান্ত হও মারিয়া। এতো টেনশন করো না দেখবে আমাদের আরহার জন্য আমরা মেঘের চেয়ে বেটার কাউকে খুঁজে নেবো।  - মেঘ নয় কেনো মোর্শেদ?  - দেখো আমার মনে হচ্ছে মেঘ আরহাকে মেনে নেবে না। - কেনো নেবে না বলো!আরহা বড় হলো অনেক রূপবতী হবে। তাহলে সমস্যা কোথায়?  - দেখো মারিয়া জোড় করে সম্পর্ক তৈরী করা যায় না তার জন্য মনের টান থাকতে হয়। আমি বলছি না ভবিষ্যতে ওদের ডিভোর্স হবেই। হতেও তো পারে ততদিনে সব কিছু মেনে নেবে মেঘ। আর যদি না মানে তাহলে আরহার জন্য জীবনসঙ্গী আমরা ঠিক করবো। অথবা আরহা নিজেও কাউকে পছন্দ করতে পারে।  -

তুমি আসবে বলে পার্ট ৫

ছবি
  # তুমি আসবে বলে  # নুসাইবা ইভানা  পর্ব- ৫ আরহার মনের মধ্যে হাজারো প্রশ্ন যার কোনটার উত্তর এ মূহুর্তে জানা নেই আরহার। হাতে থাকা তার বাব,মা, মিসেস মারিয়া, মোর্শেদ আফরোজ, ও আট/নয় বছরের ছেলের ছবি। সেটিকে ওড়নার আড়ালে লুকিয়ে নিলো। আরহা নিজের বাবা, মায়ের ছবি দেখে কেঁদে দিলো। বুঝ হওয়ার পর থেকে তার বাবাকে কখনো দেখেনি। তার মা সব সময় বলতো একদিন তোর বাবা ঠিক ফিরে আসবে। এতোদিন শুধু বাবার শূন্যতা ছিলো এখন মায়ের শূন্যতা তাকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে। মনে মনে আওড়ালো। তোমরা আমাকে কেনো একা রেখে গেলে। আমার যে বড্ড কষ্ট হয়। নীলু এসে বলল,আপনি কাঁদছেন কেনো আপনার কি বাসার কথা মনে পরছে? বাব,মার সাথে কথা বলবেন?কি হইছে আমাকে বলতে পারেন।  আরহাকে চুপ থাকতে দেখে নীলু আবার বললো, আচ্ছা একটা কথা বলেন, আপনার বাব,মা,এতো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দিলো কেনো!না মানে আপনাকে দেখো তো মনে হয় আমার ছোট হবেন! চোখের পানি মুছে আরহা বললো, আপনার বয়স কত? - তওবা তওবা আপনি আমারে তুই/ তুমি করে বলবেন। আমার বয়স পনেরো। ওই যে আরেকজন মধ্য বয়সি মহিলা দেখলেন "আমি তার মেয়ে" সাহেবরা বিদেশ যাওয়ার পর থেকে আমরাই এ বাসার দেখা শুনা করি।"আপনার নাম

তুমি আসবে বলে পার্ট ৪

#তুমি আসবে বলে # নুসাইবা ইভানা  পর্ব-৪ আরহার ঘুম ভাঙলো সন্ধ্যের দিকে। চারপাশে ঘুটঘুটে অন্ধকার। আরহার বুকটা ধক করে উঠলো  কোন রকম বিছানা ছেড়ে উঠে ভয়ে ভয়ে এগিয়ে আসলো দরজার দিকে দরজা খুলতেই আলো এসে পড়লো আরহার মুখের উপর। বাহিরে উঁকি দিয়ে কাউকে দেখতে পেলো না। পুরো বাড়িতে পিনপতন নীরবতা।দেয়াল ঘড়ির টিক টিক আওয়াজ কানে এসে বাড়ি খাচ্ছে। এক পা, এক পা করে এগিয়ে এসে আশে পাশে তাকাচ্ছে কিন্তু কোথাও কেউ নেই। দু'হাত দিয়ে পরনের জামাটা খামচে ধরেছে ভয় করছে ভিষণ।আরো একটু সামনে এগিয়ে আসলো না কাউকে দেখা যাচ্ছে না। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে আসলো এদিক ওদিক তাকাচ্ছে কিন্তু কোথাও কেউ নেই। হঠাৎ নিচে তাকিয়ে চিৎকার করলো আরহা।  আরহার চিৎকার শুনে দুজন সার্ভেন্ট বেরিয়ে আসলো ভয়ে আরহার শরীর কাঁপচ্ছে একজন মধ্য বয়স্ক মহিলা সার্ভেন্ট আরহাকে ধরে সোফায় বসিয়ে দিলো। আরএকজন এক গ্লাস পানি এনে আরহাকে খাইয়ে দিলো।  এতোটুকু মেয়েটার জীবনে কত ট্রাজেডি একের পর এক বিষাদ।  লন্ডনের একটা ক্লাবে বসে আছে সামিরা আর তার বন্ধুরা। মূলত আজ সামিরার বার্থডে উপলক্ষে একটা পার্টি থ্রো করেছে। যদিও মনটা ভীষণ খারাপ সামিরার ভেবেছিলো অন্তত আজকের দিনে মেঘ তা

তুমি আসবে বলে পার্ট ৩

ছবি
#তুমি আসবে বলে #নুসাইবা ইভানা  পর্ব -৩ মেঘ বাসা থেকে বের হয়ে গাড়ী নিয়ে যেদিকে দু' চোখ যাচ্ছে সেদিকেই ড্রাইভা করছে। ঢাকা শহরের রাস্তা সকাল ছাড়া এমন ফাঁকা পাওয়া যায় না। ড্রাইভিং করতে করতে অনেকটা দূরে চলে এসেছে। নিজের প্রতি চরম  বিরক্ত মেঘনা ব্রিজ পার হয়ে গাড়ি সাইট করে রেখে নদীর তীরে যেয়ে বসল। স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে অস্থির পানির দিকে, মনে মনে কিছু হিসাব মেলাতে ব্যস্ত অবশেষে দু'য়ে দুয়ে চার মিলয়ে ফেললো। দ্রুত নিজের সেল ফোন বের করে এয়ার এজেন্সিতে কল করে তিনটি ইমারজেন্সি টিকিট বুক করলো। এবার নিজেকে হালকা লাগছে। গাড়ি ঘুরিয়ে বাসায় উদ্দেশ্য রওনা হলো।  মিসেস মারিয়া কখন থেকে আরহার মাথা নিজের কোলে রেখে বসে আছে। আরহাও মিসেস মারিয়ার কোলে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে। নিষ্পাপ মেয়েটির মুখের পানে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছেন মিসেস মারিয়া। মনেমনে ভাবছেন একদম মায়ের কার্বন কপি। সেই চোখ সেই চেহারা সেই মায়াবী মুখ দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লেন বিষাদ ছেয়ে গেলো হৃদয়ে। কি হওয়ার কথা ছিলো আর কি হচ্ছে। জীবন আসলেই নাটকের মঞ্চ ঠিক কখন কোন মূহুর্তে ইইউ টার্ন নেয় দর্শক বুঝতেই পারে না।  ঘন্টা খানিক পর পিট পিট করো চোখ খুলছ

তুমি আসবে বলে পার্ট ২

ছবি
  #তুমি আসবে বলে  #নুসাইবা ইভানা  পর্ব - ২ মেঘ তার মমকে বললো এভাবে মুখ দেখে যদি সমস্যার সমাধান করতে পারো তবে তাকিয়ে থাকো আর নয়তো বলো সমস্যা কোথায় বসে একটা সমাধান বের করি!  মিসেস মারিয়া বললেন, গ্রামের মোরোলরা বলছেন, শুধু বিয়ে হলেই হবে না।তোদের দুজনকে একসাথে এক রুমে এক রাতের জন্য থাকতে হবে।  মেঘ হেসে বললো ব্যস এটুকু কোন সমস্যা নেই তুমি বিয়ের ব্যবস্থা করো বাকিটা আমি সামলে নেবো। শর্ত মেনেই বিয়ে হয়ে যায়। আরহা ছিল নিরব দর্শক তার কোন কিছুই বলার ছিলোনা একে তো মাত্র কয়েকদিন আগেই মাকে হারিয়েছে তার উপর মামির অত্যাচার এই বয়সেই তার জীবনটা বিষাক্ত হয়ে উঠেছে  মিসেস মারিয়া আর গ্রামের কিছু মহিলা মিলে আরহাকে হালকা সাজিয়ে একটা রুমে বসিয়ে রেখে আসলো।সবাই বেরিয়ে গেলে মিসেস মারিয়া আরহার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন মা একটু ধৈর্য ধর সব ঠিক হয়ে যাবে আমি তোকে কথা দিচ্ছি তোর জীবনের সব আধার দূর করে এক নতুন ভোর এনে দেবো। কথাটা বলে আরহার কপালে চুমু খেয়ে চলে গেলেন। আরহা ফ্যলফ্যল করে তাকিয়ে রইল। তার মা তাকে মিসেস মারিয়া অনেক গল্প শুনিয়েছিল কিন্তু কোনদিন মিসেস মারিয়াকে দেখেনি আরহা।  আরহা খুব করে ইচ্ছে করছে কাউকে জড়ি

তুমি আসবে বলে পার্ট ১

ছবি
"মম তোমার মাথা ঠিক আছে, একটা ১৩ বছরের বাচ্চা মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দেওয়ার কথা চিন্তা করো কিভাবে? "আমার পক্ষে এ বিয়ে করা অসম্ভব।  আর তাছাড়া আমি এখন বিয়ে করতে চাইছি না "আমার লাইফ মাত্র শুরু করেছি, এখনো অনেক কিছু বাকি আছে।  বুঝার চেষ্টা করো, আর তাছাড়াও একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করার মতো নিম্ন মানুষিকতা আমার না।  তোমরা শিক্ষিত সচেতন মানুষ হয়ে এরকম একটা কথা কি করে বলতে পারো? আমার বুঝে আসছে না। "তোমরা ভাবলে কি করে আমি একটা বাচ্চা মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি হবো!  আমার পরিচয়টাই তো দেয়া হয়নি, আমি মেহের আফরোজ মেঘ, বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান। এবার অর্নাস সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।  লন্ডনে থাকি। আমার পুরো ফেমেলি সেখানেই থাকতো।  দুদিন আগেই তারা বাংলাদেশ এসেছে। কালকে আমাকেও জরুরি তলব দিয়ে নিয়ে এসেছে। বাকি তো আপনারা দেখতেই পারছেন।  মিসেস মমতা : চৌধুরী (মেঘের মা) বিয়েটা তোমাকে করতেই হবে মেঘ  মেঘ: পাপা, তুমিতো অন্তত বুঝাও মমকে আমার পক্ষে এই বিয়েটা করা পসিবল নয়।   মোর্শেদ আফরোজ : বিয়েটা করে নও মেঘ।   পাপা তুমিও একি কথা বলছো; আমি ভেবেছিলাম তুমি অন্তত বুঝবে।    " তোমাদের যা ইচ্ছে কর আমি আজ এখনই

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ৫

 #বেপরোয়া_প্রেমঘোর  লেখিকা— #প্রিয়া(ছদ্মনাম) ( Priya's Story )  #পর্ব_৫ আদির ঘরে খাটের উপর অচেতনভাবে শুয়ে আছে আদিবা।পাশেই টুলের উপর আদিবার হাত ধরে চিন্তিত ভঙ্গিতে তার মুখপানে চেয়ে আছে আদি।চোখজোড়া তার টকটকে লাল।কান্না আটকানোর ফল হয়তো!আদির মা ও এখানেই আছেন।মামা-মামি একটু আগেই নিজেদের ঘরে গেলেন।অভি একবার দেখেই চলে গেছে।আদিবার পুরো কপাল জুড়ে ব্যান্ডেজ।ব্যান্ডেজের উপরেও র'ক্তের দাগ স্পষ্ট। চোখমুখ শুকিয়ে গেছে একদম।কিছুক্ষণ আগে আদির বাবার ঘরে আদিবার চিৎকারে তিনি ঘুম থেকে জেগে যান।খাটের পাশেই সুইচ বোর্ড হওয়ায় বাতি জ্বালিয়ে তিনি দেখতে পান আদিবা এলোমেলো ভাবে মেঝেতে পড়ে রয়েছে।আদিবার কপালের একপাশে যেখানে আগে থেকেই ব্যান্ডেজ করা ছিলো সেটা খুলে গিয়ে র'ক্ত পড়ছে। আদিবাকে এমন অবস্থায় দেখে ওসমান সাহেব ভীষণ ভয় পেয়ে যান।তিনি জোরে জোরে আদিকে আর রিয়া চৌধুরীকে ডাকতে থাকেন।বাবার চিৎকার শুনে ড্রয়িং রুমে বসে থাকা আদি দৌড়ে তার ঘরের দিকে পা বাড়ায়।পিছু পিছু যান আদির মা ও।আদি গিয়ে আদিবার এই অবস্থা দেখে পা'গ'লপ্রায় হয়ে যায়।সে আদিবাকে কোলে করে তার ঘরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয়।তারপর ডাক্তারকে কল করলে

বেপরোয়া প্রেমঘোর পার্ট ৪

 বেপরোয়া_প্রেমঘোর  লেখিকা—প্রিয়া(ছদ্মনাম) পর্ব ৪ আদি একটা মেরুন রঙের পাঞ্জাবি পড়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চুল ব্রাশ করছে।ঘুম থেকে উঠেই সে শাওয়ার নিয়েছিলো।এখন নিচে বউভাতের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে। হাতে একটা কালো ওয়াচ পড়ে সে দরজার দিকে এগিয়ে গেলো। পরক্ষণে কি মনে করে আবার আলমারির দিকে এগিয়ে আসলো।আলমারির ভেতর থেকে একটা প্যাকেট বের করে বিছানার উপর রেখে সে নিচে চলে গেল।আদিবা তখন শাওয়ার নিচ্ছে।  নিচে আদির মা রিয়া চৌধুরী আর তাদের বাড়ির কাজের মহিলা রাহেলা বেগম রান্না করছেন। রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আনা হলেও রাতে যেসব আত্মীয় স্বজনরা থেকে যাবেন তাদের জন্যই।আদি নিচে এসে মাকে জিজ্ঞেস করলো তার কোনো হেল্প লাগবে কিনা!তিনি বললেন —'রান্না শেষের দিকে আদি। আহামরি কোনো রান্না না।আমার হেল্প লাগবে না। কিন্তু আদিবা কোথায়? ও এখনো নিচে নামছে না কেন? একটু পরেই তো সবাই এসে পড়বে!' —'আমি তো দেখে এলাম ও শাওয়ার নিচ্ছে মা।এসে পড়বে হয়তো।আমি বাইরে গেলাম। মামা-মামি আর অভিকে নিয়ে আসি। ওরা কাছেই এসে পড়েছে।' —'ঠিক আছে সাবধানে যা।' .... আদিবার গোসল করে এসে দেখলো খাটের উপর একটা প্যাকেট রাখা। পাশেই এ

নীল রক্ত পার্ট ১২-১৩

  ১২+১৩ #নীল_রক্ত  MD Neel Mahmud   পর্ব-১২ ,  আয়নাতে স্পষ্ট রিভার্স এর বিদঘুটে চেহারা টা দেখা যাচ্ছিলো,  কিন্ত এখানে রিভার্স আসলো কি ভাবে,  রিতু চিৎকার দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যায় আর বেডরুমে নীল শুয়ে ছিলো, রিতুর চিৎকার শুনে নীল উঠে দাঁড়ায়,  আর রিতু এসে নীল কে জরিয়ে ধরে, রিতু নীলের বুকে মুখ লুকিয়ে আছে এই দিকে নীল বার বার জিজ্ঞেস করছে, নীল- কি হয়েছে এমন করছো কেনো, রিতু নীলের বুকে মুখ লুকিয়ে এক হাত দিয়ে দেখিয়ে বলল, ঐখানে সেই কালো লোক টা, নীল- আরে কোথায়, কি বলো?  রিতু- আমি নিজের চোখে দেখলাম আয়নায়, নীল- আরে শুনো উঠো আমি বলছি, নীল রিতুর পিঠে হাত দিতে অনুভব করলো খালি খালি কেনো, নীল তাকিয়ে দেখে একদম জামা কাপড় ছাড়া, এখন রিতু কে যতই বলছে আমাকে  ছাড়ো রিতু ততই নীল কে জড়িয়ে ধরছে, কারণ রিতু পড়ে গেছে এখন লজ্জায়, রিতুও বুঝতে পেরেছে সে উলঙ্গ,  নীল তখন বিছানায় থাকা কম্বল টা দিয়ে রিতু কে জরিয়ে দেয়, রিতু লজ্জায় মাথা নিচু করে আছে, নীল বলল,,,,  নীল- রিভার্স তোমার আশেপাশে থাকলে তোমার পিঠে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করবে,আর নীল দাগ টা আরো উজ্জ্বল হয়ে যাবে,,, তুমি আয়নায় যেটা দেখছো সেটা হলো রিভার্স, তোমার পিঠে আয়না

নীল রক্ত পার্ট ৯-১০-১১

৯+১০+১১ #নীল_রক্ত  MD Neel Mahmud   পর্ব-০৯ ,  রিতুর রক্ত দিয়ে অভিশাপ মুক্ত হবে রিভার্স, এই কথা রিতু চমকে যায়, ঘুম ভেঙে যায় রিতুর নিজেকে মেঝেতে আবিষ্কার করে, চার দিক তাকিয়ে দেখে এটা নীলের বাসা অজ্ঞান হয়ে ছিলো, মানে এটাও স্বপ্ন ছিলো কিন্ত এখন রিতু পড়ে গেলো  বিপাকে কোন টা স্বপ্ন কোন টা বাস্তব  বুঝার উপায় নাই,এই দিকে পাঠক পাঠিকাদের মাথা গরম কারণ গল্প টা পড়ে কিছুই বুঝছে না মাথা আউলা ঝাউলা হয়ে গেছে, কিন্ত চিন্তা করবেন না গল্প গুছিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমার,  রিতুর ভাবলো এখন এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব সেটা নির্ধারণ করবে কি ভাবে, তখন রিতুর একটা মুভির কথা মনে পড়লো স্বপ্নে চিমটি দিলে নাকি ব্যথা পাওয়া যায় না, তাই এক হাত দিয়ে আরেক হাতে চিমটি দিলো অনেক জোরে, ব্যথায় নিজেই উফফ বলে উঠলো তার মানে বাস্তবে আছে,, ফ্লোর থেকে নিজে কে উঠায় রিতু,হঠাৎ মনে পড়ে মেয়ে দুটো কার ছিলো আর কে? দিন যতই যাচ্ছে একটার একটা ঝামেলা দেখা দিচ্ছে, এর একটা বিহিত করা দরকার,  কিন্ত নীল কে নিয়ে যে বসবে কথা গুলো বলবে কিন্ত নীলের সামনে গেলে  কিছুই মনে থাকে না, আর নীল কে রহস্যময় ছেলে মনে হয়, নিজে পুলিশ বলেই কি এমন হচ্ছে কারণ পুলিশের মন তো সন

নীল রক্ত পার্ট ৭-৮

 ৭+৮ নীল_রক্ত  MD Neel Mahmud   পর্ব-০৭ , রিতু এসে দেখলো পিচ্ছি মেয়েটি গায়েব আর সেই অদ্ভুত ডক্টরটিও নেই, নীল সুস্থ হয়ে বসে আছে বেডে কি অদ্ভুত ব্যাপার,  রিতুর মনে হচ্ছে আমি কি ভুল দেখছি  এতক্ষণ, নাকি টাইম ট্রাবল করছি, কোন টা কিছুই বুঝতে পারছি না, রিতু ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে নিরব  দর্শকের মতো বসে আছে, কিছু বলছে না, অবুঝ শিশুর মতো বসে আছে রিতু মুখে কোন কথা নাই, নীল আবার শুয়ে পড়লো।  রিতু নীলের দিকে তাকিয়ে আছে  কি কিউট ছেলে,  নীল কে দেখেই যে কোন মেয়ে  ক্রাশ খাবে সেখানে রিতু তো,,,,,,,?  নীলের চুল গুলো ফ্যানের বাতাসে উড়ছে, রিতুর ইচ্ছে করছে নীলের চুল একটু স্পর্শ করতে, কিন্ত কি ভাবে চুল গুলো ধরবে, এমন সময় নীল বলল,যদি কিছু মনে না করেন একটা কথা বলি, রিতু- হুম বলো, নীল- আমার খুব মাথা ব্যথা করছে একটু হাত বুলিয়ে দিবেন, রিতু- মনে মনে এই তো সুযোগ,  রিতু দেড়ি না করে মাথার কাছে বসে  নীলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগলো, নীল মাঝে চোখ বুঝে আবার খোলে ঘুম ঘুম ভাব, একটু পর নীল ঘুমিয়েই পড়লো,।  রিতু নীল কে রেখে হসপিটাল থেকে  বের হল, বের হয়ে মনে হল রিতু কোন মায়াজাল থেকে বের হল, হঠাৎ মনে হল রিতুর, নীলের কি হয়েছে  শর